না ফেরার দেশে চলে গেলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম
(১৯৪৯ – ২০২০) গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি জ্বর ও গলা ব্যাথা নিয়ে রাজধানীর সিএমএইচে ভর্তি হন। ওই দিনই নমুনা পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। এরমধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৯ সেপ্টেম্বর তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর (২৭ সেপ্টেম্বর) রোববার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান।
এদিকে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছেন সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মাহবুবে আলমের জানাজা হবে এবং তার পর সেখান থেকে মরদেহ কিছু সময়ের জন্য তার মিন্টু রোডের বাসভবনের সামনে নেওয়া হবে। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আরো জানিয়েছেন মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
১৯৪৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার মৌছামান্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মাহবুবে আলম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও ১৯৬৯ সালে লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইন পেশা পরিচালনার অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট এবং ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
১৯৯৮ সালে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি ১৯৭৯ সালে ভারতের নয়াদিল্লির ইনস্টিটিউট অব কনস্টিটিশনাল অ্যান্ড পার্লামেন্টারি স্টাডিজ থেকে সাংবিধানিক আইন ও পার্লামেন্টারি বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন।
মাহবুবে আলম ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪-২০০৭ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং সাথে সাথে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।