শকুন মানব জাতির জন্য অভিশাপ নয় বরং আশির্বাদ
শকুনকে অনেকেই অশুভের প্রতিক মনে করলেও এটি একটি শুভ পাখি ।এটি প্রকৃতিকে পরিষ্কার করে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে সহায়তা করে তাই শকুনকে প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মীও বলা হয়। এরা মূলত প্রাণীর মাংস খেয়ে বাঁচে। প্রাকৃতিকভাবেই শকুন অনেক জীবাণু ধ্বংস করে শকুনের পাকস্থলী কলেরা, ক্ষুরারোগ সহ নানান জীবাণু হজম করতে সক্ষম।
তাই মৃত দেহে এসব রোগের জীবানু থাকলেও শকুনের কারনে তা প্রকৃতিতে ছড়াতে পারেনা।
গত দুই যুগে বাংলাদেশ থেকে শকুন প্রায় বিলুপ্তিরি পথে।শুধু এ দেশেই নয় সারা পৃথিবীতে ৯৯.৯ শতাংশ শকুন ই এখন নেই।ভারতীয় উপমহাদেশে যেখানে ৪ কোটি শকুন ছিল এখন সেখানে মাত্র ১০ হাজারের মত বাংলা শকুন টিকে আছে ।বর্তমানে বাংলাদেশে এদরে সংখ্যা ২৬০ এর নিচে।গবেষকদের মতে শকুন বিলুপ্তির প্রধান কারন পশু চিকিৎসায় Diclofenac ও Ketoprofen
জাতীয় ব্যাথানাশক ঔষধের ব্যাবহার।এই জাতীয় ঔষধ হজমের জন্য শকুনের শরীরে কোন এনজাইম নেই।
তবে আশার কথা হচ্ছে RSPB শকুনকে বাচাতে SAVE নামে একটি প্রতিষ্ঠান গরে তুলেছে।তারা শকুনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও শকুন সংরক্ষনের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সরকার ২০১০ সালে Diclofenac ব্যান করেছে এবং ২০১৭ সালে Ketoprofen ব্যান করেছে।
২০১৩ সালে শকুন সংরক্ষনে করা হয়েছে জাতীয় কমিটি।২০১৪ সালে দেশের দুটি অঞ্চল শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে।
শকুন বাচাতে পশু চিকিৎসকরা ঐ দুটি ঔষধের পরিবর্তে Meloxicam নামে একটি ঔষধ বাজারে এনেছে যেটি সব দিক থেকে নিরাপদ।